স্বদেশ ডেস্খ:
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) তাদের রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু করতে যাচ্ছে রোববার থেকে।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে এক সপ্তাহব্যাপী এ কংগ্রেসে জড়ো হবেন প্রায় ২ হাজার ৩০০ প্রতিনিধি। এ কংগ্রেসের মাধ্যমে সিসিপির শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়োগ, এর সংবিধান সংশোধন এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশটির নীতি নির্দেশনা অনুমোদন দেয়া হবে।
প্রতি পাঁচ বছর অন্তর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রক এই পার্টির সম্মেলন একটি বড় বিষয়।
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির ২০তম এ কংগ্রেসে প্রায় নিশ্চিতভাবেই দলটির নেতা শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন। আর এর মধ্য দিয়ে শি জিনপিং চীনের প্রেসিডেন্ট ও কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও থেকে যাচ্ছেন।
নির্বাচিত হলে তিনিই হচ্ছেন, ১৯৭৬ সালে মাও সেতুং-এর মৃত্যুর পর থেকে এই প্রথম এমন চীনা নেতা, যিনি ২ মেয়াদের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করবেন। আর, মাও এবং তার উত্তরসূরি দেং জিয়াওপিং-এর পর তিনি হবেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা। এটি একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে তিনি ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট হবার পর থেকে ক্ষমতা সুসংহত করেছেন। আর এর মধ্য দিয়ে দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার বদলে দেশটি একজন ক্ষমতাধর নেতার শাসনের দিকে ফিরে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই কংগ্রেসে নীতিগত কোনো বড় পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে না। তবে অনেকে মনে করছেন, উচ্চ হারে সংক্রমণ দেখা না দেয়ায় এই ভাইরাস সহনশীল অবস্থানেই থাকবে এবং চীনের কঠোর জিরো-কোভিড নীতি এমন পর্যায়ে শিথিল হতে পারে।
এই কংগ্রেসেই বুঝা যাবে আগামী ৫ বছরে চীন কীভাবে অসংখ্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। এই চ্যলেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ এবং মন্থর অর্থনীতি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কঠিন সম্পর্ক পর্যন্ত। এগুলো চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং ভৌগলিক প্রভাবের জন্য বাড়তি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি